রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , (০৮:১২ AM) / ৩০ ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

26° সে:

খেলা

নেট রানরেটের সব হিসাব জানত না আফগানরা

ওয়ালিউল হাসান   ঢাকা

০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩


এভাবেই হারের হতাশায় বসে পড়েন রশিদ খান
এভাবেই হারের হতাশায় বসে পড়েন রশিদ খান | ছবি: এএফপি

এভাবেও তবে হারা যায়! তীরে এসে নিজেদের ভুলেই এশিয়া কাপে তরি ডুবেছে আফগানিস্তানের। সুপার ফোরে বাংলাদেশের সঙ্গী হতে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৯২ রানের লক্ষ্য আফগানিস্তানকে ছুঁতে হতো ৩৭.১ ওভারের মধ্যে। তবে ৩৭.১ ওভারের মধ্যে জিততে না পারলেও সুযোগ ছিল তাদের। সে ক্ষেত্রে ৩৭.৪ ওভারের মধ্যে করতে হতো ২৯৫ রান। এমনকি স্কোর টাই করার পর, মানে ২৯১ রান করার পরও ছক্কা মেরে জিতলেও আফগানিস্তানের সুযোগ ছিল ৩৮.১ ওভার পর্যন্ত।

৩৭তম ওভারের শেষ বলে রশিদ চার মারার পর আফগানিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩ রান। মুজিব আউট হয়ে যাওয়াতেই আশা শেষ, আফগানিস্তানকে দেখে মনে হয়েছে এমন। ফারুকির ব্যাটিংয়ের ধরনেও ফুটে উঠেছে সেটি। আর ম্যাচ শেষে নেট রানরেটের হিসাব না জানার কথা স্বীকার করেছেন আফগানিস্তানের প্রধান কোচ জনাথন ট্রট। বলেছেন, তাঁরা শুধু ৩৭.১ ওভারে ২৯২ রান করার কথাই জানতেন। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ভুল স্বীকার করে নিয়ে ট্রট বলেছেন, ‘আমাদের হিসাবগুলো সম্পর্কে জানানো হয়নি। আমরা যা জেনেছি, তা হলো আমাদের ৩৭.১ বলের মধ্যে জিততে হবে। আমাদের বলা হয়নি কত ওভারের মধ্যে আমরা ২৯৫ বা ২৯৭ রান করলেও হবে। ৩৮.১ ওভারের মধ্যে জয়ের বিষয়টি আমাদের কখনোই বলা হয়নি।’ যদিও বিশেষ কিছু তথ্যের জন্য দলগুলো ম্যাচ অফিশিয়ালদের ওপর নির্ভর করে, তবে নেট রানরেটের হিসাব সহজবোধ্য ব্যাপার। আর এ জন্য হাইপ্রোফাইল দলগুলোয় একজন ম্যাচ–বিশ্লেষকও থাকে। এর আগেও এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। এরই মধ্যে ২০০৩ বিশ্বকাপে হিসাব না জেনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিদায় নেওয়ার বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে। এরপর ২০১৪ সালের আইপিএলেও ঘটেছিল এমন ঘটনা। প্লে–অফ নিশ্চিত করার জন্য মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের ১৪.৩ ওভারে ১৯০ করতে হতো। নির্ধারিত ওভারে মুম্বাই ১৮৯ রান করতে পারে। তবে আরও একটি হিসাব ছিল। পরের বলে যদি তারা ছক্কা মারতে পারত, তা–ও তারা প্লে–অফে কোয়ালিফাই করতে পারবে। জেমস ফকনার সেই ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়ে দেন